Annual Report

এসিআইই- এর বার্ষিক প্রতিবেদন (ACIE Annual Report) 

ভূমিকা

এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন (এসিআইই), বাংলাদেশ এর নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে। প্রাথমিকভাবে, বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত ইনক্লুশন ইনিশিয়েটিভস ফর স্পেশাল-নিডস বাংলাদেশ (আইআইএসবি) নামে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশে একীভূত শিক্ষা বলবৎ করার লক্ষ্যে এসিআইই শুরুর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে তার গবেষণা কার্যক্রম, পলিসি এডভোকেসি, নেটওয়ার্কিং, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, শিক্ষাবৃত্তি, এবং সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচী’র মাধ্যমে।

২০১১ সালে, শিক্ষা অনুষদ, মোনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া এর আহবানে একটি সভা আয়োজন করা হয় যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন, হংকং সহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষক এবং গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন। অধ্যাপক ড. এম. তারিক আহসান (মহাসচিব, আইআইএসবি), অধ্যাপক নাজমুল হক (গবেষনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সচিব, আইআইএসবি), এবং অধ্যাপক সালমা আক্তার (প্রাক্তন পরিচালক, শিক্ষা ও গবেষনা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। এই তিনজন ব্যক্তি একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশকে এই সভায় উপস্থাপন করেন। এই সভার আলোচনার ফলশ্রুতিতেই অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষক ও গবেষকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে একীভূত শিক্ষা আলোচনা ও চর্চার জন্যে একটি প্ল্যাটফর্ম অচিরেই তৈরি করা উচিত। তৎকালীন আইআইএসবি প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশে চলমান আইআইএসবি কার্যালয়কেই এশিয়া-প্যাসিফিকের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব তখন সভায় পেশ করেন। সভা থেকে ফেরত আসার পর, আইআইএসবি প্রতিনিধিগণ প্রাথমিকভাবে এই আঞ্চলিক কেন্দ্রের ধারনা ধরেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। প্রকল্পের নামকরণ করা হয় এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন, বাংলাদেশ। পরবর্তীতে আইআইএসবি এর নিবন্ধনকৃত নাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে সংস্থার নাম ‘এসিআইই’ করা হয়।

তখন থেকেই, এসিআইই’র কার্যক্রম ঢাকা কার্যালয়কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। এসিআইই এর সদস্যরা সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষক, এবং উন্নয়ন কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন। এসিআইই এর কার্যক্রমের সাথে বিশ্বের বেশকিছু খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জড়িত আছেন। এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন, বাংলাদেশ একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম প্রচার এবং প্রসারের জন্যে যেকোনো স্বেচ্ছাসেবী এবং অলাভজনক কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং চালিয়ে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।